প্রকাশিত: ০৩/০৮/২০১৮ ৯:০৬ এএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:৫০ পিএম

ডেস্ক নিউজ – ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখছিলেন বাসের কাগজপত্র ও চালকের লাইসেন্স ঠিক আছে কিনা। একপর্যায়ে শুরু হলো তল্লাশি। বাসচালকের ব্যাগ থেকে পাওয়া গেল চার হাজার ইয়াবা। দিনাজপুর পৌর শহরের ভোগনগর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাসের চালক ও তাঁর সহযোগীকে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, পুলিশ এক মাদক ব্যবসায়ীকেও গ্রেপ্তার করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, হানিফ পরিবহনের বাসের চালক আমজাদ হোসেন (৪০), সহকারী হাসান আলী (২৮) ও অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (৩৮)। তিনজনেরই বাড়ি দিনাজপুরের সদর উপজেলায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে দিনাজপুরগামী হানিফ পরিবহনের ওই বাসটিতে তল্লাশির সময় চালককে মাদকসেবী বলে সন্দেহ হয় ম্যাজিস্ট্রেটের। এরপর ভ্রাম্যমাণ আলাতের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা চালকের শরীর তল্লাশি করে মানিব্যাগে একটি ইয়াবা পান। পরে চালকের ব্যাগ তল্লাশি করে ৪ হাজার পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। পাশাপাশি ওই গাড়িটিরও বৈধ কোনো কাগজ বা চালকের লাইসেন্স ছিল না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

আদালত সূত্র জানায়, গাড়ির বৈধ কাগজপত্র এবং চালকের লাইসেন্স না থাকায় ৪ হাজার ৮ শ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর ইয়াবা রাখার দায়ে চালক এবং চালকের সহকারীকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে রাতে চালক ও সহকারীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহীদুল ইসলামকে দিনাজপুরের চক গোপাল গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামান আল ইমরান বলেন, চালক এবং চালকের সহকারী তাঁকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবার এ রকম একটি চালান তাঁরা দিনাজপুরের এক মাদক ব্যবসায়ীকে (শহীদুল ইসলাম) দেন। এর বিনিময়ে চালক ও তার সহকারী ৫ হাজার টাকা পান।’

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। বিশ্বব্যাপী চলমান ...